রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে নবম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। আজ বুধবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে প্রেসক্লাব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, গত কয়েক দিনের মতো আজ সকাল থেকে শিক্ষকদের স্লোগানে উত্তাল প্রেসক্লাব এলাকা। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
শিক্ষক নেতারা বলেন, আজ নবম দিনের মতো আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ের কেউ যোগাযোগ করেনি। আজ ৯ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে। অবিলম্বে দাবি মেনে নিয়ে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে দিন।
তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।
তারা আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
শিক্ষকরা বলছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয় এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
শিক্ষকরা জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে বছরের পর বছর উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতীকী অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, কর্মবিরতিসহ প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বারবার স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। এবার জাতীয়করণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওযার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।